কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জনৈক ডিপ পাম্প মালিক শহিদ জোয়ার্দারের খাম-খেয়ালির কারনে সেচ কাজ বন্ধ।
পানির জন্য হাহাকার। সেচের অভাবে মাঠ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। মাঠে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে ধান। কৃষকের মাথায় হাত।
আরো কযেকদিন আগেই সেচ দেয়ার দরকার ছিল পিয়ারপুর ইউনিয়নের জোয়ার্দার পাড়া ছোট বিলের মাঠে ধানের জমিতে। কিন্তু সেচ প্রকল্পের মূল মালিকের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারনে কৃষক আজ মহাবিপদে। সরেজমিন অনুসন্ধানে কৃষকের দুর্দশার জন্য পাম্প মালিক শহিদুল ইসলাম শহিদ জোয়ার্দারকে দায়ী করছেন কৃষকরা। আজ থেকে ৫ দিন আগে সে সেচ যন্ত্র বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীকালে এখানে ট্রান্সমিটার চুরি ও ডিপের মিটার ভাঙচুর করে শহিদের লোকজন। এলাকাবাসী পরিত্রাণের আশায় ইউএনও সহ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। অবহিত আছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। এব্যাপারে শহিদ জোয়ারদার এর মুঠোফোনে আলাপ করা হলে তিনি সেচ পুনঃ কার্যক্রম ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ট্রান্সমিটার চুরি হয়ে যাওয়াকে কারন হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেন। বিএডিসির উপ-প্রকৌকশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কামারপুরের সেচ কার্যক্রম অচলাবস্থা বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন। শীঘ্রই তিনি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এলাকাবাসী দ্রুত ফসলহানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।