হোটেল মালিকেরা বলছেন গত কয়েক মাসে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের বোতল, সয়াবিন তেল, আটা- ময়দা সবকিছুর দাম বেশি। অন্য বছরের তুলনায় দাম বাড়তি সবজিরও। তাই খাবারের দাম বাড়ানো অথবা আকার ছোট করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। তবে যেসব খাবার বিক্রি করে লাভ থাকছে না সেগুলো আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন হোটেল মালিকেরা। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম আবার বেশি। আর যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর আবার দেওয়া হচ্ছে পরিমাণে কম ছোট আকারে। রুটি – পরোটার দাম বেড়েছে, ছোট হয়েছে সিঙ্গারা- সমুচা। খাবার হোটেলে গেলে আগে পাওয়া যেত রুটি-পরোটা ৫ টাকায়। সেটা এখন দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে ১০ টাকায়। মূল্যস্ফীতির কারণে বেড়েছে রুটি-পরোটার দাম। ছোট হতে শুরু করেছে সিঙ্গারা-সমুচা। ভাত খেতে আগের তুলনায় বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। পণ্য মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সামনে আরো বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না বললেন খাবার হোটেল মালিকেরা। এলাকার বিভিন্ন হোটেল- রেস্তোরায় এসব সিঙ্গারা – সমুচা খুবই জনপ্রিয়। দিনভর ভীড় লেগেই থাকে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহে আটা-ময়দার পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় এখন আয় ব্যয় হিসাব মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে খাবার হোটেল মালিকেরা। একটু একটু ছোট বানানো হচ্ছে সিঙ্গারা-সমুচা।
আর রুটি- পরোটা একটু বড় করে বানিয়ে দাম নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। ভেড়ামারা শহরের খুব জনপ্রিয় বসুন্ধরা হোটেল মালিক ইউসুফ আলী জানাই আগের তুলনায় বেচা-বিক্রি কম। কর্মজীবীদের হোটেল-রেস্টুরেন্ট এর বিকল্প নেই। তাই মূল্যস্থিতি রাখার দাবি ভোক্তা ভোগীদের।