শীত চলে গেছে। তবে গ্রীষ্মকাল এখনো আসেনি। তার আগেই গরম আমাদের রোদের তাওয়ায় যেন ভেজে তুলছে। তাতে এমন কোনো ক্ষতি নেই সাধারণ মানুষের। তারা তো জন্মেছেই গরমের দেশে। এর জন্য অখুশি নয় তারা। কিন্তু মাছ-গোশত-শাকসবজির দেশ বলে আমরা যে ভেজিটারিয়ানই থাকব আজীবন, এমন তো নয়। আমরা মাংসাশী ও সবজিভুক দুটোতেই এখন সমান সমান।
কিন্তু সেই সমান কি আর থাকতে পারছি? না মোটেই নয়। অতীতে কচুঘেচু খাওয়া মানুষ আজ আর কচু খেতে পেলেও ঘেচু ক’জনের খাবার ভাগ্য হয়েছে বলা মুশকিল। তবে তার চেয়েও বড় মুশকিল হলো আজকের শাক আর সবজির বাজারের দাম নিয়ে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে একটি লাউ (ডাক নাম তার কদু) এর দাম মিনিমাম এক শ’ টাকা। চার সদস্যের একটি পরিবারের জন্য ওই একটি লাউ একবেলার জন্য ঠিক আছে। কিন্তু একটি লাউ দিয়ে তো আর পরিবারের খাদ্য গ্রহণ সম্ভব নয়। আরো অনেক কিছু লাগে। আর মধ্যে প্রধান হলো কাঁচামরিচ।দিন পনেরো/কুড়ি আগেও কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১২০ টাকার মতো। এখন অবশ্য কমেছে। এ বছর ফুলকপির দাম ৪০-৫০-৬০ টাকার নিচে নামেনি। বাঁধাকপির দাম অবশ্য কমই ছিল বলতে হবে। কিন্তু চারডাঁটার এক মুঠি লাউশাকের দাম শীতের দিনে ছিল ২০-২৫-৩০ টাকা। এখন চৈতা লাউ আর শাকের চাহিদা যেমন বেশি তেমনি দামও কমেছে। এতে স্বস্তি কমলে কী হবে, সেই স্বস্তিকে চড়া দামে কিনে নিয়েছে আমাদের আমদানিকারক ও ভোজ্যতেল উৎপাদক-পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা। সরকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা বলছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় তারাও বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ১০০ টাকা বাড়লে বাংলাদেশে সেই হিসাবে ১০ টাকার বেশি বাড়তে পারে না; কিন্তু সেটি তো হয় না। এখানে দাম বাড়ানোর কোনো হিসাব থাকে না।