ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে এটি বিপর্যয়কর হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর ১৭তম দিনে শনিবার (১২ মার্চ) একথা জানায় তারা। রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান মিখাইল মিজিনতসেভ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং বেশ কিছু শহরে তা ইতোমধ্যেই বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে।’
অবশ্য পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির মানবিক পরিস্থিতির অবনতির পেছনে রাশিয়ার দোষ দেখছেন না মিখাইল মিজিনতসেভ। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরের আবাসিক এলাকায় মাইন স্থাপনের মাধ্যমে রাস্তা ও সেতুসহ বহু অবকাঠামো ধ্বংস এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও ওষুধের সংকটে রাখার জন্য তিনি দেশটির ‘জাতীয়তাবাদীদের’ অভিযুক্ত করেন।
মিজিনতসেভ আরও বলেছেন, রুশ সেনাদের হাতে অবরুদ্ধ ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোলে ‘জাতীয়তাবাদীরা’ কয়েক হাজার মানুষকে আটকে রাখায় শহরটির মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। তার ভাষায়, ‘বিদেশি নাগরিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে জোরপূর্বক বন্দি করে রেখেছে জাতীয়তাবাদীরা।’
রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এই প্রধানের অভিযোগ, ১৬টি দেশের প্রায় ৭ হাজার নাগরিক এবং ৫০টিরও বেশি বিদেশি জাহাজের ক্রুদের জিম্মি করে রেখেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।